শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

Headline :
চাটখিল উপজেলা জামায়াতের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন ডিএমপির ৩৮তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জনাব বাহারুল আলম যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন আমীরে জামায়াত,ডাঃশফিকুর রহমান ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি,শিবির সেক্রেটারি থানাকে জনগণের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্র ও জনগণ জামায়াতের হাতে নিরাপদ থাকবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ ও বিতর্কিত করার জন্য নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে আওয়ামীলীগ – মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মি: রেতো সিজফ্রিয়েড রেঙ্গলির সাথে জামায়াত প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমী আন্দোলন ও সংগ্রামের নাম জামায়াত-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

এনআইডি জালিয়াতি : সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করবে ইসি

রিপোর্টার নাম / ৮৫ Time View
Update : শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

আদালত প্রতিবেদক : কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার বহুল আলোচিত জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালককে মামলা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। সচিব বলেন, এছাড়া সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডি ব্লক করে দেয়া হয়েছে। কোন প্রক্রিয়ায়, কার সুপারিশে তিনি দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন- আমাদের কেউ কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সহায়তা করেছেন কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে। এর পরও আমরা একটা চিঠি দিচ্ছি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, আমরা অতীতেও অনেকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার কারণে মামলা দিয়েছি। কাউকেই ছাড় দেইনি। এ ঘটনায় জড়িতদেরও ছাড় দেয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। একটিতে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর।

একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন অপরটিতে মা-বাবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দ মুশাররফ হসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।

দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানাও ব্যবহার করেছেন তিনি। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে করোনা কাণ্ডে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের এনআইডি স্থগিত করে ইসি। তিনি নিজের নাম সংশোধন করে ‘সাহেদ করিম’ থেকে হন ‘মোহাম্মদ সাহেদ’। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ কাজ করেন তিনি। বর্তমানে এর তদন্ত চলছে।

ভুয়া করোনার রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি)। ২০ আগস্ট সাবরিনা ও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, করোনা জালিয়াতিতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন জেকেজির সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক চৌধুরী। এ দুজন ছাড়াও মামলার অন্য ছয় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন জেকেজির সমন্বয়ক সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম ও জেবুন্নেসা। মামলা থেকে মামুনুর রশীদ নামের আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলা করার ৪২ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

করোনার নমুনা সংগ্রহ ও ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুন জেকেজিহেলথ কেয়ারের কর্মচারী হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজিনা পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। পরদিন ২৪ জুন হুমায়ুন কবির ও তানজিনা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হুমায়ুন কবির জেকেজি হেলথকেয়ারে চাকরি করার সময় কীভাবে করোনার নমুনা সংগ্রহ এবং ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন। হুমায়ুন কবির জবানবন্দিতে বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করে ড্রেনে ফেলে দিতেন। এ ছাড়া শফিকুল ইসলামও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


মোহাম্মদ মাসুদ (প্রধান উপদেষ্টা)
তাসবীরুল হক অনু (সিনিয়র উপদেষ্টা).

ব্রেকিং নিউজ :
ব্রেকিং নিউজ :