গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা আহত পাঁচ
বশির আলম ## গাজীপুরে গাছা থানা মালেকের বাড়ি দীঘিরপার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে, একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সাবেক ছাত্রদল নেতা রুবেল মন্ডল এর বিরুদ্ধে । গত শুক্রবার দুপুরে ২০-২৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ দলবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে যার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। সরেজমিনে তথ্য নিয়ে জানা যায়, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম মাহাবুব। মাহবুব এর অভিযোগ তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বর্নিত ঠিকানায় মাহাবুব মন্ডল স্টোর নামক পাইকারী মুদির দোকান এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিয়া সুনামের সহিত ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। গত ১৬ মে ২০২৫ শুক্রবার দুপুর অনুমান ০২.৪০ ঘটিকার সময় আমি আমার বর্নিত ঠিকানার দোকানে অবস্থান করাকালে স্থানীয় সাবেক ছাত্রদল নেতা রুবেল মন্ডলের নেতৃত্বে ছেন, চাপাতি, ধারালো দা, ধারালো ছুরি, রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বে-আইনী জনতাবদ্ধে দিঘীর পূর্ব পাড় আমার দোকানের সামনে আসিয়া আমার নিকট (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে। ইহাতে আমি অপারগতা প্রকাশ করিলে বিবাদীরা আমাকে অকথ্য অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিয়া অনধিকারে আমার দোকানের ভিতরে প্রবেশ করিয়া আমাকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি, মুড়া মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে হামলা শুরু করে। তখন আমি ভয়ে প্রান রক্ষার্থে দোকান হতে বাহির হয়ে আমার বসতবাড়ীর ভিতরে চলে গেলে আসামীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে। তখন আমার বাবা মোঃ আফিজ উদ্দিন ও মা মোসাঃ মমতাজ বেগম এবং আমাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোঃ উজ্জল, মোঃ লোকমান, ফিরাইতে আগাইয়া গেলে রুবেল মন্ডলের হুকুমে সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আমার বাবা’কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারে আমার বাবা সামান্য সরে গেলে চাপাতির উল্টাপিঠ আমার বাবার বাম হাতের কুনুইতে লাগিয়া হাড় ভাংগা মারাত্মক বেদনা দায়ক জখম হয়। চাপাতি দিয়ে আমার মা’কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারে, উক্ত কোপ আমার মা হাত দিয়ে ফিরাইলে তার বাম হাতের কব্জির নিচে লাগিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের হামলায় ভাড়াটিয়া অন্যান্য লোকজন আসলে তাদের উপর হামলা চালায় এই ঘটনায় দুইজন গুরুতর সহ পাঁচ জন আহত হয়েছে । আমরা ডাক-চিৎকার করিলে আসামীরা আমাদের এই বলিয়া হুমকি দেয় যে, আমি যদি আসামীদের দাবীকৃত চাদার টাকা না দেই, তাহলে আমাকে সময় সুযোগমত পাইলে খুন জখম করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া আমাদের দোকানে প্রবেশ করিয়া লুটপাট করিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় আমার বাবা-মা ও ভাড়াটিয়াদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিয়া ভর্তি করি। সন্ত্রাসীরা দোকানে লুটপাট করিয়া আনুমানিক (পাঁচ লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে জানতে পারি আসামীরা দিঘীর পূর্ব পাশে আমার ফুফাত ভাই মোঃ জসিম এর অফিসে প্রবেশ করিয়া আমাকে না পাইয়া অফিসে ভাংচুর করিয়া নগদ টাকা সহ প্রায় চার লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করিয়াছে। এমতাবস্থায় সন্ত্রাসীদের ভয়ে চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি, সন্ত্রাসীরা যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের খুন জখম সহ যেকোন বড় ধরনের ক্ষতি করিতে পারে। এই ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে গাছা থানায় দশ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের নামে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি । অভিযুক্তরা হলেন,
মোঃ রুবেল মন্ডল পিতা-আঃ রহমান মন্ডল, আল আমিন (ঘর জামাই) পিতা-অজ্ঞাত, শশুর-কাদির মেম্বার, ইমরান পিতা-মোঃ আঃ কাদির, ইউসুফ খোকা উভয় পিতা-মোঃ জাকির মোঃ জাকির পিতা-অজ্ঞাত, সাগর পিতা-ইউসুফ, নাসির, ফাহিম, পিতা-অজ্ঞাত, সজিব পিতা-ইদ্রীস, সকলে একই এলাকায় বসবাস করেন ।
এই ঘটনা অভিযুক্ত রুবেল মন্ডলের সাথে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , সিয়ামের সাথে আমার নেট ব্যবসা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল, আমি যেখানে লাইন দিয়েছিলাম ও সেখানে লাইন দেয়, ওকে নিষেধ করেছিলাম ওক্ষিপ্ত হয়ে আমার লোকজনের উপর প্রথমে হামলা করে, পরবর্তীতে ঝামেলা হয়েছিল আমি ঘটনা স্থানে ছিলাম না, আমি একটি দাওয়াতের অনুষ্ঠানে ছিলাম পরবর্তীতে এসে শুনি যে দুই পক্ষে মারামারি হয়েছে। আমি ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মাহবুব ভাইকে বিষয়টি জানিয়েছি সমাধানের চেষ্টা চলছে ।
এই ঘটনার বিষয় গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও মারামারির একটি অভিযোগ পেয়েছি এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছি , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছি, মামলা নাং- ২২, অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা রয়েছে । অপরাধ দমনে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি , কোন প্রভাবশালী অন্যায় করে ছাড় পাবে না ।