নাইজারে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, ফরাসি আগ্রাসন সত্ত্বেও বেশিরভাগ পরিবার এখনও তাদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তির আগে মক্তবে পাঠানোর ঐতিহ্য বজায় রাখে। তারা বিশ্বাস করে যে, ‘শৈশবে কোরআন মুখস্থ করা বা শিক্ষা করা একটি পাথরের ওপর খোদাই করার মতো।’
কোরআনি মক্তবগুলো বন্ধ করার জন্য ফরাসিরা অনেক চেষ্টা করেছে। অনেক শিক্ষককে মেরে ফেলা হয়েছে, অনেকে প্রাণের ভয়ে দেশত্যাগ করেছেন। এমনকি কোরআন শিক্ষার উপকরণও পুড়িয়ে দিয়েছে ওই সময় সম্পর্কে ফাতিমা এভাবেই বলছিলেন।
বর্তমানে দেশে শত শত মক্তব রয়েছে। যদিও কিছুটা ভিন্ন আকারে এগুলো চলছে। আগে ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো বেতন নেওয়া হতো না, এখন প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে চারশো ফ্রাঙ্ক (স্থানীয় মুদ্রা) নেওয়া হয় এবং বোর্ডিং এর জন্য আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হয়।
এখন অনেক তরুণ কোরআন শেখানোর দিকে ঝুঁকছে। তারা দেশটির ঐতিহ্য রক্ষায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছ।