বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় না চড়তে এবং ফুটপাতের অবৈধ হকারদের থেকে কেনাকাটা না করতে আহবান জানিয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসায় প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ স্প্রাইটের বোতল ফেলে দিয়ে আভিনব কায়দায় প্রতিবাদ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি চাটখিলে ইসলামী পাঠাগার ও সমাজকল্যাণ পরিষদ এর উদ্ভোদন করেন,মাওলানা ছাইফ উল্যাহ জুলাই বিপ্লবীরা জাতীয় বীর -ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। গাজার একমাত্র ক্যানসার হাসপাতাল উড়িয়ে দিলো ইসরায়েল আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী ওয়ান হাউজ ওয়ান মিডিয়ার সুপারিশ এসোসিয়েশন অব টেক্সটাইল ইন্জিনির্য়াস এন্ড টেকনোলজিস্ট এটিইটি এর ইফতার মাহফিল ও অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরন অনুষ্ঠিত। গাজীপুরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মক্তবে কোরআন শেখা নাইজারের ঐতিহ্য

ইসলাম ডেস্ক / ১০৯ Time View
Update : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২০ অপরাহ্ন

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। দাপ্তরিক নাম ‘রিপাবলিক অব দ্য নাইজার।’ আফ্রিকার বিখ্যাত নাইজার নদীর নামানুসারে এর নামকরণ হয়েছে। দেশটির মোট আয়তন চার লাখ ৯০ হাজার বর্গমাইল। নাইজারের ২৫ মিলিয়ন মানুষের ৯৯.৩ শতাংশই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের শহর নিয়ামি দেশটির রাজধানী। ৩ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে নাইজার।

নাইজারে ইসলামের ইতিহাস সুপ্রাচীন হলেও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও দারিদ্র্য তাদের প্রধান সংকট। এর পরও দেশটিতে ইসলামি কর্মকাণ্ড থেমে নেই। দেশটির আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষ শিক্ষা, সংস্কৃতি, সেবা ও রাজনীতি সর্বত্রই সক্রিয়।দেশের প্রতিটি মসজিদে কোরআন মাজিদ শিক্ষাদানের জন্য মক্তব রয়েছে। বলা হয়, মক্তব নাইজারে কোরআনিক পরিচয়ের প্রতীক। দেশটির বেশিরভাগ পরিবার এখনও তাদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তির আগে মক্তবে পাঠানোর ঐতিহ্য বজায় রেখেছে।

অতীতে মক্তবে পবিত্র কোরআন মাজিদ হেফজ এবং শিশুদের কোরআনের জ্ঞান শিক্ষাদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। অনেক দেশে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ঐতিহ্য অতীত থেকে বিদ্যমান ছিল এবং আজও এর প্রচলন রয়েছে।

সম্প্রতি আল জাজিরা নেটওয়ার্ক নাইজারের রাজধানী নিয়ামির মুহাম্মদ বিন সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষক ফাতিমা আহমেদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে নাইজারের স্কুলগুলোর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছে।

নাইজারে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, ফরাসি আগ্রাসন সত্ত্বেও বেশিরভাগ পরিবার এখনও তাদের সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তির আগে মক্তবে পাঠানোর ঐতিহ্য বজায় রাখে। তারা বিশ্বাস করে যে, ‘শৈশবে কোরআন মুখস্থ করা বা শিক্ষা করা একটি পাথরের ওপর খোদাই করার মতো।’

কোরআনি মক্তবগুলো বন্ধ করার জন্য ফরাসিরা অনেক চেষ্টা করেছে। অনেক শিক্ষককে মেরে ফেলা হয়েছে, অনেকে প্রাণের ভয়ে দেশত্যাগ করেছেন। এমনকি কোরআন শিক্ষার উপকরণও পুড়িয়ে দিয়েছে ওই সময় সম্পর্কে ফাতিমা এভাবেই বলছিলেন।

বর্তমানে দেশে শত শত মক্তব রয়েছে। যদিও কিছুটা ভিন্ন আকারে এগুলো চলছে। আগে ছাত্রদের কাছ থেকে কোনো বেতন নেওয়া হতো না, এখন প্রতিটি ছাত্রের কাছ থেকে প্রতি মাসে কমপক্ষে চারশো ফ্রাঙ্ক (স্থানীয় মুদ্রা) নেওয়া হয় এবং বোর্ডিং এর জন্য আলাদাভাবে পরিশোধ করতে হয়।

এখন অনেক তরুণ কোরআন শেখানোর দিকে ঝুঁকছে। তারা দেশটির ঐতিহ্য রক্ষায় যথাসাধ্য চেষ্টা করছ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com