অনলাইন ডেস্ক : ফরিদ ও প্রদীপ দুই বন্ধু। তারা দু’জনেই খুব এডভেঞ্চার প্রিয়। বিভিন্ন জায়গায় তারা ঘুরতে যায়। পাহাড়-জঙ্গল, নদী-সমুদ্র সব খানেই তাদের বিচরণ। আর তারা সে সব জায়গায় যাওয়ার সময় নিজেদের প্রস্তুত রাখে অর্থাৎ কি কি লাগতে পারে, কোন বিপদ হলে কি করবে, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যা যা দরকার সব কিছুই সাথে রাখে। তাই কোন ভ্রমনে তাদের চিন্তা থাকে না।
এই অতি সতর্কী বন্ধুদ্বয় একবার গেল নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। গ্রামের পথে ঘুরতে বের হলো। নিজেদের ক্ষেত, বাগান, মাঠ-জঙ্গল ইত্যাদি ঘুরে ফিরে দেখার সময় কি যেন একটা পোকা কামড়ে দিলো ফরিদের হাতে। ব্যথায় কুঁকড়ে গেল সে। প্রদীপ দৌড়ে গেল বাড়িতে ঔষধ নিয়ে আসতে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে, তবে তা সঙ্গে করে কি সব সময় ঘোরাঘুরি করা যায়? তাই ঘরে রেখে এসেছে। আর এরই মধ্যে এই বিপদ। ঔষধ নিয়ে আসতে প্রায় ১৫/২০মিনিট লাগবে, তখন মনে হলো – এই ঝোপঝাড়ের মধ্যেই হয়তো এর ঔষধ রয়েছে। এখানের কোন লতা, পাতা, গুল্ম কিছু একটা আছে যার মধ্যে এই ব্যথা কমানোর ঔষধীগুণ রয়েছে। আহা সে যদি চিনতো, জানতো! তবে আজ তার কতোই না উপকার হতো।
তার মনে পরলো, নূর-মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজের শিক্ষক তৌহিদ স্যার ওদের দু’জনকেই বলেছিলেন, তোমারা এতো এডভেঞ্চার প্রিয় তোমাদের কিন্তু ভেষজ ঔষধের জ্ঞান থাকা খুব জরুরী। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে বেয়ার গ্রীল যে অনুষ্ঠান করে থাকেন তাতে উনার ভেষজ জ্ঞান কতো বেশি! উনি কি পারেন না অনেক রকম ঔষধ সাথে রাখতে? কিন্তু উনি কি তা করেন?
কিন্তু তৌহিদ স্যারের কথা প্রদীপ মেনে নিলেও ফরিদ ভাবলো এটা ছাত্র ছাত্রী ভর্তির বুদ্ধি। তাই নিজেও আগ্রহী হলো না আর প্রদীপকেও নিরুৎসাহিত করলো। সে বললো এসব তারা পড়বে যারা শুধু রোগীর চিকিৎসা করবে। আমারা শিখে সময় আর পয়সা কেন খরচ করবো? কিন্তু এখন বুঝতে পারছে শুধু রোগীর জন্য না, নিজেদের চলার জন্য, সুন্দর ভাবে বাঁচার জন্য আয়ুর্বেদিক মেডিসিন তথা ভেষজ ঔষধের জ্ঞান থাকা খুব জরুরী।
এই ধরুন হঠাৎ করে কারো পেট খারাপ হলো, কারো কেটে গেল, কেউ ব্যথা পেলো ইত্যাদি – কত রকমের অসুবিধা হতে পারে তখন ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে যাবার পূর্বে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সে তো তখন সেইসব ভেষজ ঔষধ ব্যবহার করতে পারে যদি তার সেই জ্ঞান থাকে। ফরিদের এইসব ভাবার মধ্যে প্রদীপ ঔষধ নিয়ে হাজির। ফরিদ নিজেই প্রদীপকে বললো তাদের উচিৎ আয়ুর্বেদ মেডিসিন শিক্ষা নেয়া।
তারা কোথায় শিখবে, সেটা প্রদীপ জানতে চাইলে ফরিদ বললো, অবশ্যই আয়ুর্বেদ জগতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবো। আর জাতীয় মেধা তালিকায় নূর-মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ বরাবরই সংখ্যা গরিষ্ঠ। তাদের ক্লাস সংখ্যা সর্বাধীক এবং শিক্ষকগন খুবই যোগ্যতাসম্পন্ন ও আন্তরিক। তা ছাড়া মনে নেই তৌহিদ স্যারের কথা, নূর -মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ তাদের সকল ক্লাস ক্যাম্পাসের পাশাপাশি অন-লাইনে ক্লাস নিয়ে থাকে তাই আমরা যেখানেই থাকিনা কেন আমাদের ক্লাস করতে অসুবিধা হবে না।
রচনাঃ ডাঃ মুহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান লিটু।
প্রভাষক, নূর- মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ।
প্রচারেঃ
দেশীয় ভেষজ চিকিৎসা তথা আয়ুর্বেদ মেডিসিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ
নূর-মজিদ আয়ুর্বেদিক কলেজ,
বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।