বাশার আল আসাদের পতনের মাধ্যমে সিরিয়ায় অবসান ঘটেছে র্দীঘ দিনের স্বৈরশাসনের। উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে ইতোমধ্যে পতন ঘটেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর। দেশটির সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ভবন দখল করে নিয়েছেন সশস্ত্র যোদ্ধারা। একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিরীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার পএর আগে যোদ্ধারা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েন। এরপরই বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
বাশার আল আসাদের পতন, সিরিয়ার জনগণের বিজয় উল্লাসকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরীফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারী। তিনি সিরিয়াসহ পৃথিবীর সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি বলেছেন, হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।জানিয়েছেন।র সেই স্থাপনাও দখলে প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন।
তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে যোদ্ধারা আবারও তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি তারা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট আসাদ।নিয়েছেন তারা।