তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা ভাংচুর ও মামলা
মিজানুর রহমানঃ
তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা মিরপুর শাখার শিক্ষার্থী জমজম ইসলাম রিতুল (৯) কে সামিউল আহসান কানন (১২) ইয়ামিন খান শাহি (১৩), আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৩), মাদ্রাসার ৫ম তলায় দরজা বন্ধ করে প্লাস্টিকের ঝাড়ু দিয়ে মারধর করে।
ঘটনার বিবরণ : ৪ মার্চ ২০২৫ মঙ্গলবার, দুপুর ৩ টায় জমজমের সাথে কাননের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে,জমজম নিজে ও তার সাথে ইয়ামিন ও মামুনকে নিয়ে কাননকে বেদরক মারধর করে। রাতে কানন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তারাবির সময় অপর দুইজন ছত্রদের নিয়ে, জমজমকে প্লাস্টিকের ঝাড়ু দিয়ে মারপিট করে।
এই ঘটনা জমজমের পরিবারের সদস্য জানতে পেরে ভয়ানক ক্ষেপে যায় এবং জমজম ইসলামের বড় ভাই কাইফ ইসলাম মিতুল (২০) বহিরাগত লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় এসে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক কো-অর্ডিনেটর জনাব ফোরকান আহমদকে কিল, ঘুষি এবং লাথি মেরে শারীরিকভাবে মারাত্মক জখম এবং লাঞ্ছিত করে এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ভাংচুর ও ক্ষতিগ্রস্থ করে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আহত ছাত্রের বাসায় যান এবং বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করেন। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কো-অর্ডিনেটরকে বরখাস্ত করেন।
তারপরও তারা বহিরাগত লোক নিয়ে এসে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ধামকি দেয় এবং থানায় উল্লেখিত ছাত্র এবং শিক্ষক ফোনকান আহমদসহ অজ্ঞাতনামা শিক্ষকের বিরুদ্ধে রূপনগর থানায় একটি সিআর মামলা রুজু করেন। মামলা নং ১৫ তারিখ ৭/৩/২০২৫, ধারা-৩৪২, ৩২৩, ৩২৫, ৫০৬, ১০৯,৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
উক্ত জমজম ইসলামের ভাই কাইফ ইসলাম মিতুল (২০) বহিরাগত নিয়ে মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া এবং শিক্ষকদের মারার হুমকি ধামকি প্রদান করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলে নয়া দিগন্ত তুরাগ সংবাদদাতাকে অবহিত করেন। এ ব্যাপারে রূপনগর থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং মামলার তদন্ত চলছে বলে জানান।##