শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক
ভারতের কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি এক্সপ্রেস প্লেন। ১৮৪ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রুসহ দুবাই ফেরত ফ্লাইটটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে খাদে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায়।
এতে দুই পাইলটসসহ ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস-সহ ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো।
বিজেপির সংসদ সদস্য কে জে আলফন্স প্রথম টুইটে জানান, পাইলটসহ একজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পরে পুলিশ ২০ জন নিহত হওয়ার খবর জানায়। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন রেগুলেটর ডিজিসিএ এর ডিরক্টরেট জেনারেল অরুণ কুমার বলেন, এটা দুবাই থেকে কোঝিকোডে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি এক্সপ্রেস ফ্লাইট ছিল। অতিরিক্ত গতির ল্যান্ডিংয়ের কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে খাদে পড়ে প্লেনটি। এটি দুই খণ্ড হয়ে ভেঙে পড়লেও আগুন ধরেনি। যেটা জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়ায়। আমাদের উদ্ধারকারী দল এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে রানওয়েতে অবতরণের সময় ছিটকে পড়ে প্লেনটির সামনের দিকটি প্রায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্লেনটি বন্দে ভারত প্রকল্পের অংশ যা করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ে বিদেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার উদ্দেশে চলাচল করছে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন রেগুলেটর ডিজিসিএ বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে ৩০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়।
ফ্লাইটটিতে ১৭৪ জন্য পূর্ণবয়স্ক, ১০ জন শিশু, দুই জন পাইলট ও চারজন ক্রু ছিল। যদিও প্রথমে সব মিলিয়ে ১৯২ জন ছিল বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমগুলো। নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে।
পাইলট উইং কমান্ডার দীপক বসন্ত শেঠ ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফাইটার প্লেনের সাবেক পাইলট ছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার। দুজনই এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও এটির রানওয়ে আকারে খুব বড় নয়। এমনকী রানওয়ের শেষ প্রান্তেও জায়গা কম। এ কারণে অনেক বড় এয়ারক্রাফট এই বিমানবন্দরে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ রেখেছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। প্লেনটি অবতরণের আগে কয়েকবার আকাশে চক্কর দেয় বৈরী আবহাওয়ার কারণে।
দুর্ঘটনার পর ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী, দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।