মারুফ হোসেন : গল্পকে ও হার মানায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল ইউনিয়নের বাকশীমুল গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ সেলিম(এমএ) জীবনীতে। ১৯৯৬ সাল থেকে সমর্থক ও কর্মী, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্র লীগ ২ নং বাকশীমুল ইউনিয়ন ২০০৩-২০১৪ সাধারণ সম্পাদক- ২ নং বাকশীমুল ইউনিয়ন ছাত্র লীগ,সিনিয়র সহসভাপতি বাকশীমুল ইউনিয়ন যুবলীগ । তবে কখনো বিক্রয় করেনি নিজের দলের নাম ও সততাকে।
“কর্মই ধর্ম”এ স্লোগান কে সম্মান করে মোঃ সেলিম গড়ে তুলেছে নিজস্ব গ্রামে ছোট খাটো একটি প্রতিষ্ঠান।সেখানে স-মিল, ধান ভাঙ্গা ,মরিচ ভাঙা ,চাল গুড়ো করার মেশিন, কাঠ মিস্ত্রির কয়েকটি দোকান, ফার্নিচার দোকান সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। সেই প্রতিষ্ঠানে ৫০-১০০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরো কিছু লোক ব্যবসা করার জন্য গড়ে তুলে দিয়েছেন কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সেখানে ও কাজ করে ২০-৩০ জন। নিজেই স-মিলে কাজ করেন। অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন প্রায় ২৫ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের সাথে জড়িত। দল করতে গিয়ে অনেক ভাবে লাঞ্ছিত বন্ঞ্ছিত হয়েছেন। কিন্তু বর্তামান সরকারের সুদিনের ও দলে নতুন অনুপ্রবেশকারীদের কে সরকার সম্পূর্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে রেখেছে।যদিও বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আক্ষেপ করে এ কথা গুলো প্রায়ই বলেন তবুও দলকে ভালবেসে গড়ে তুলেছে তার নিজস্ব অর্থায়নে নিজস্ব জায়গায় কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে শেখ রাছেল জাদুঘর। সেখানে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যায় করে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি রাখর জন্য চারটি চেয়ার তৈরি করেছেন। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ছবি গুলো যত্ন সহকারে মুছে পরিষ্কার করে।
শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের প্রতি সম্মান রেখে শেখ রাছেল জাদুঘরে পুরো পরিবরের ছবি ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সব ধরনের বই সংগ্রহ করে রেখেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক লোক এ জাদুঘরটি পরিদর্শন করতে আসে। শেখ রাসেল জাদুঘরের পাশে মোঃ সেলিম তার মা- বাবার সম্মানে তার মার্কটে একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ তৈরি করেছেন। আশেপাশের লোকজন এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার সুযোগ পায়।
তবে গত বছর তার এ যাদুঘর পরিদর্শন করেন বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরুল হাসান। তিনি দেখে খুশি হয়ে মোঃ সেলিমের স্ত্রীকে একটি সেলাই মেশিন উপহার দেন। শুধু বুড়িচং নয় কুমিল্লা জেলা জুড়ে একটি মাত্র নিজস্ব অর্থায়নে পুর্নাঙ্গ শেখ রাছেল জাদুঘর এবং এটিই করেছে মোঃ সেলিম। মোঃ সেলিম এ জাদুঘরটি নিয়ে ভবিষ্যতে আরও অনেক ভাবনা করেন। তিনি জাদুঘরটি দেশের সেরা জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। তিনি বলেন অর্থ কে নয় দলকে ভালোবেসেই আমি এসব করছি। তিনি দেশের সকলের কাছে ভালোবাসা ও দোয়া কামনা করেছেন।