বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমার বিশ্বাস ” A leader is he who knows the way, who goes the way, who shows the way ” নেতা সে যিনি সঠিক পথ চিনেন, যিনি সঠিক পথে চলেন এবং যিনি সঠিক পথ দেখান।
উপরোক্ত কথা গুলো কোন মহান নেতার ক্ষেত্রেই হয়। আর একজন মহান নেতা বলতে বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া আর কে হতে পারে? দীর্ঘদিন এর কাঙ্কিত মানবতার মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর। শেখ মুজিব শুধু একজন ব্যক্তির নামই নয় মুজিব মানে একটি প্রত্যয়-প্রত্যাশার নাম। হয়তো বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে লাল সবুজের পতাকা খচিত মানচিত্রের সৃষ্টি হতো না।
ব্রিটিশ এমপি জেমসলামন্ড বলেছিলেন -শেখ মুজিব হত্যাকান্ডে শুধু বাংলাদেশই এতিম হয়নি, বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।’
ব্রিটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন -‘শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, মহাত্মা গান্ধী এবং ভ্যালেরার চেয়েও মহান নেতা ছিলেন। ‘
বিপ্লবী কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন -আমি হিমালয় দেখিনি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি। শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো তাদের একজন মহান নেতাকে,আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে’।
ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন বলেছিলেন -‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর।’
জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কেনেথা কাউন্ডা বলেছিলেন -‘শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগণকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ‘ বঙ্গবন্ধু হত্যার খবরটি আন্তর্জাতিক সকল গণমাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হয়েছিল। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে -‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখোনই নিত না।’ পত্রিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চতুর্দশ লুইয়ের সাথে তুলনা করা যায়।
জনগণ তাঁর কাছে এত প্রিয় ছিল যে,লুইয়ের মতো তিনি এ দাবি করতে পারেন যে,আমিই রাষ্ট্র। ‘ ১৫ আগস্ট এর ঘটনার পর বিবিসি নিউজ করেছিল -শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে।অথচ তাঁকে হত্যা করতে পাকিস্তানিরা সংকোচবোধ করেছে।
ভারতীয় বেতার “আকাশ বাণী’ ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে,যিশু মারা গেছেন। এখন লাখ লাখ লোক ক্রস ধারণ করে তাঁকে স্মরণ করেছেন। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো।
একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়,বাংলাদেশের লাখ লাখ লোক শেখ মুজিবুর রহমানের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরনীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে। নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে ‘Poet of politics ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যা দেয়া হয়।
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন -‘ পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি,আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে।’ একই সম্মেলনে বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তুমি আজ যে ভাষণ দিলে,এখন থেকে সাবধানে থেক।আজ থেকে তোমাকে হত্যার জন্য একটি বুলেট তোমার পিছু নিয়েছে। ‘ ফিদেল কাস্ত্রোর সেদিনের কথাটিই সত্য হয়ে যায় ঠিক দুই বছরের মাথায়।
দ্য গার্ডিয়ানে লেখা হয় – শেখ মুজিব ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার সংবাদ শুনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত দুঃখ করে বলেছিলেন -‘ তোমরা আমারই দেওয়া ট্যান্ক দিয়ে আমার বন্ধু মুজিবকে হত্যা করেছ।আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি। ‘ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ বেচে আছে বেচে থাকবে চিরকাল। তাইতো অন্যদাশংকর বলেছেন-‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান, তবু নাই ভয় হবে হবে জয় , জয় মুজিবুর রহমান।
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন শিশির
সদস্য , জেলা পরিষদ কুমিল্লা ও সাবেক ছাত্র নেতা