মিজানুর রহমান নগর প্রতিবেদকঃকেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভারতীয় ডাক্তারদের নিয়ে অবৈধ মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে এইমস হেলথকেয়ার বিগত ৫ বছরে হাতিয়ে নিয়েছে ৯ কোটি টাকা। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে : বিএমডিসি’র অনুমোদন ছাড়াই দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পুলিশ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জোক সাজসে ৪ বছরে প্রায় ২৫০ টি অবৈধ মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সূত্রে আরো জানা যায় – প্রতিটি ক্যাম্পে ভারতীয় হাসপাতাল থেকে নেওয়া হতো ৩০০০ – ৪০০০ ডলার। যার মাধ্যমে ৫ বছরে ৭,৫০,০০০ ডলার কামিয়ে নেওয়া এইমস হেলথ কেয়ার প্রধান নির্বাহী মুশফিকুর রহমান দিপু ও পুলিশ হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। ২৫০ টি অবৈধ মেডিকেল ক্যাম্প থেকে আয়কৃত প্রায় ৯ কোটি টাকার এক টাকাও জমা দেয়নি পুলিশ হাসপাতালের ফান্ডে। এছাড়া এইমস হেলথ কেয়ার বিগত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের অভ্যন্তরে ইমার্জেন্সি বিল্ডিং এর ২০৭ নং রুমে অফিস খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় ডাক্তারদের নিয়ে টেলিমেডিসিন সেন্টার। অথচ প্রতিটি বিদেশী ডাক্তার বাংলাদেশে রোগী দেখার জন্য বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুলিশ হাসপাতালের ক্যাম্প থেকে ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন বাবদ সরকার কোনো টাকা পায়নি বিগত ৪ বছরে। শুধু তাই নয় এই মুশফিকুর রহমান দিপু নিজেকে বিগত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ পরিচয়ে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে সে গা ঢাকা দিয়েছে এবং বর্তমানে ভারতের চেন্নাইয়ে অবস্থান করছে। সে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনুর রশিদ ও এস বি প্রধান মনিরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এইমস হেলথকেয়ার কর্তৃপক্ষের নাম্বারে একাধিক বার ফোন করা হলেও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বিএমডিসির সাথে যোগাযোগ করেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি