সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই সাড়া জাগালেও পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নির্ভরশীলতার পথে হাঁটছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যেই এই ভ্যাকসিনের বেশ কয়েক ধাপের কাজ সফল হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ প্রচেষ্টার এই ভ্যাকসিন কয়েক ধাপে সফলের পরই পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াও বেশ পরিচিতি পাচ্ছে। কারণ ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে এই সংস্থাটি।
এদিকে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার এই উদ্যোগে তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস। করোনার ভ্যাকসিন ভারতের বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে দিতে গেভি এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।
এই চুক্তির অন্যতম কারণই হলো, অনুন্নত দেশগুলোতে গরিব মানুষদের কাছে যেন খুব সস্তায় ভ্যাকসিনটি পৌঁছে দেওয়া যায়। অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের দাম হতে পারে ৩ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় টাকায় এর মূল্য হবে মাত্র ২২৫ রুপি। ভারত ছাড়াও বিশ্বের আরও ৯২টি দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে সিরাম। সেজন্য ১০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গেভি এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ১৫ কোটি ডলার তুলে দিয়েছে ভারতের ওই সংস্থাটির হাতে।
তবে শুধু অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনই নয়, ভারতের আইসিএমআর-ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভ্যাকসিন, জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি, মডার্না, ফাইজারের মতো সংস্থাও ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে চলেছে। কিন্তু সারাবিশ্বে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটিকেই আপাতত সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছেও এগিয়ে এই ভ্যাকসিন। এমনকী অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ব্যাপক হারে ভারতেও হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সিরামের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বিল গেটসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গেভি এবং বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়েছে। ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ দ্রুত প্রস্তুত করার জন্যই এই চুক্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, ভ্যাকসিনের দাম যতটা সম্ভব কম রাখা হবে, যাতে সকলের আয়ত্তের মধ্যে হয়।-এই সময়।