বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
মানবতার কল্যাণে মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
২ নভেম্বর শনিবার বরুড়া উন্নয়ন ফোরাম ঢাকা শাখা কর্তৃক রাজধানীর তথ্য ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মানবতার কল্যাণে মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শীর্ষক আলোচনা সভা।
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাসুল (সাঃ) এসেছিলেন ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য। ইসলাম এসেছে মানবতার জন্য যেখানে সকল মানুষ নিরাপদে বাস করবে।যারা বিচারকের আসনে বসে অন্যায় বিচার করেছেন আজ তাদের কে জাতি ধিক্কার দিয়েছে তাদের আশ্রয় হয় কলাপাতায়, এদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে বিচারকদের চলতে হবে নাহলে তাদের পরিনতিও এমন হবে। এই দেশে কখনো কোন ইসলাম পন্থি দল অমুসলিমদের উপর হামলা করে না, জায়গা দখল করে না, করে তারাই যারা রাজনীতিকে তাদের দুর্নিতির পাহাড় বানিয়ে রাখে তারা জনগনের সেবার নামে লুটপাট করে। তিনি বলেন
রাসুলকে প্রেরণ করেছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ সকল দ্বীনের উপর তাকে বিজয়ী করার জন্য।
রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই দায়িত্ব সফলভাবে আঞ্জাম দিয়েছেন। অন্ধকারে ডুবে থাকা জাতিকে হেদায়াতের আলোকসজ্জায় উদ্ভাসিত করেছেন। সত্য ও সুন্দরের প্রচারে অগ্রণী ও অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। সকল মতাদর্শের উপর ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ও বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি শনিবার সন্ধায় মানবতার কল্যাণে মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শীর্ষক আলোচনা সভা উপলক্ষে বরুড়া উন্নয়ন ফোরাম, ঢাকা তথ্য ভবনে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনী শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বেনজির বাগান জামে মসজিদের খতিব শায়েখ এমদাদ উল্লাহ এর দারসুল কোরআনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আ ক ম আব্দুল কাদের তিনি বলেন; অনেকে বলে এই রাষ্ট্র বিপ্লব করে কি পেল তাদের কে আমি বলি এখন যে খোলা ময়দানে আমরা ইসলামের কথা বলতে পেরেছি আলোচনা করতে পারতেছি, মানুষতার বাক স্বাধীনতা পেয়েছে, বিগত সরকার যুবকদের কে জেলে ডুকিয়েছে সেই যুবক হারিয়েছে তার যৌবনকাল, হারিয়েছে ঘর-বাড়ি, বাড়িতে আসতে দেয়নি, এছাড়াও তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনি সম্পর্কে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও হক’বে এর পরিচালক আব্দুল হক বলেন; বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা বৈষম্য মুক্ত একটা সমাজ আমাদের কে দিয়েছে, যেটাকে বিশ্বের গণমাধ্যমে দ্বিতীয় বিজয় বলেছেন।
এই বিপ্লবকে বহু দুর নিয়ে যেতে হবে, বিগত সরকার শিক্ষা, ব্যাবসা, অর্থনিতি ধ্বংস করে দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহিল কাফি মামুন এর সন্তালনায় ও গোলাম কিবরিয়া এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন,
জনাব মাওলনা মুফতি মোস্তফা,
জনাব ডক্টর আব্দুল বারী,
জনাব ফখরুদ্দিন,
মোঃ কেফায়েত উল্লাহ,
জনাব মোঃ মোতাহার হোসেন,
জনাব মাস্টার মোঃ জুনাব আলী ভূঁইয়া,
জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির,
জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া,
জনাব অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম,
জনাব ইঞ্জিনিয়ার একরামুল হক,
জনাব লুৎফর রহমান,
জনাব ডাঃ মোঃ শহীদ উল্লাহ,
জনাব মাওলানা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন,
জনাব আব্দুল মোমিন পাটোয়ারী,
জনাব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির,
জনাব ফজলুল কাদের চৌধুরী,
জনাব মোঃ গোলাম ছরওয়ার,
জনাব দেওয়ান মাঈনুদ্দীন,
শাইখ এমদাদ উল্লাহ,
মাওলানা মাসুক রেজা।