বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া প্রতিবেদক : ২৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে কবে? ফিফার সিদ্ধান্তে যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয়রানই হওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কিন্তু প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে তেমন চিন্তিতই মনে হলো না, ‘আমরা কিন্তু কখনোই এত তাড়াতাড়ি দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার টার্গেট করিনি। খুব আগে হলেও আমরা আগামী বছরের যেকোনো সময় থেকে শুরু করার পরিকল্পনা করেছি। কাজেই আমাদের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অন্য কোনো কিছু প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি না।’
‘অন্য কিছু’ বলতে অক্টোবরেই দেশে নির্ধারিত বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইয়ের ম্যাচ ফিফার স্থগিত করে দেওয়ার ব্যাপারটিই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর ফিফা ঠিকই অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশে এনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলিয়ে নিয়েছে যেখানে, সেখানে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হোম সিরিজের জন্য আনতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে বিসিবিকে। এবার করোনাভাইরাসের কারণেও একই ঝামেলা পোহানোর আশঙ্কা নিয়ে আলোচনায় অবশ্য খুব একটা কান দিতে রাজি নন নিজাম উদ্দিন। এমনকি হোম সিরিজ না হলে টিভি রাইটস থেকে বড় অঙ্কের আয় থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও টলানো যায়নি তাঁকে, ‘আমাদের সব হোম সিরিজই যে লাভজনক হয়, তা নয়। তাই এই বছর স্থগিত হওয়া সিরিজগুলোর কারণে বড় আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছি বলব না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি হয়তো কিছুটা লাভজনক হতো। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে সব সময় আয়-ব্যয় সমান সমানই হয়।’
আগামী বছরের আগে আমরা হোম সিরিজের কথা চিন্তা করছি না। ফিফা এখনকার খেলা স্থগিত করেছে। আমরা তো ‘এখন’ নিয়ে চিন্তা করছি না।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, বিসিবির প্রধান নির্বাহী
তাঁর ভাষ্য, ‘‘আগামী বছরের আগে আমরা হোম সিরিজের কথা চিন্তা করছি না। ফিফা এখনকার খেলা স্থগিত করেছে। আমরা তো ‘এখন’ নিয়ে চিন্তা করছি না। ফিফা নিশ্চয়ই ইনডিপেনডেন্ট কোনো সার্ভে করেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থা দেশের বাইরের যেকোনো সংস্থার চেয়ে ভালো বুঝতে পারছি। দেশে বসে মূল্যায়নটা আরো নিখুঁত হয়। এ জন্যই এ বছর আমরা আন্তর্জাতিক সিরিজের কোনো পরিকল্পনা করছি না। করলেও ঘরোয়া আসর করব। ফুটবলের ঘটনাকে তাই আমাদের কাছে অশনিসংকেত মনে হচ্ছে না। তা ছাড়া এর মধ্যে আমাদের কোনো আইসিসি ইভেন্টও নেই যে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা একেবারে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে শুরু করতে চাই। তা ছাড়া আমাদের অন্যের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফুটবল ফেডারেশনের তো ফিফার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার।”