বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন
রামগঞ্জে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে বহিষ্কৃত আজিমকে চাকরিতে পুনর্বহালের পাঁয়তারা
রামগঞ্জ সংবাদদাতাঃ “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড” এমন প্রবাদকে সামনে রেখেই প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠায়, প্রত্যেক বাবা মা সপ্ন দেখে তাদের সন্তান স্কুলে শিক্ষদের কাছে লেখা পড়া করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ এবং জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে,অথচ সেই শিক্ষকের হাতেই যদি ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে তাহলে আর কোথায় শিক্ষা গ্রহণ করার নিরাপদ স্হান হতে পারে বিষয়টি অবিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে,
কয়েকমাস পূর্বে রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারে শাহজকি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানী আজিমের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে বহিষ্কৃত আজিম শ্যামপুর স্কুলে পূনরায় যোগদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে বিএনপি পন্হী নেতাদেরকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে আজিম নিজেকে চাকরিতে পুনর্বহালের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো জানা যায় উর্ধতননেতৃবৃন্দের মাধ্যমে শ্যামপুর স্কুলের কমিটিকে চাপ সৃষ্টি করে চাকরি ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা ও তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টা নিয়ে শাহজকি উদ্দিন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তারা বলেন এই অপকর্মকারী ছাত্রীর শ্লীলতাহানিকারী আজিম যদি আবারো স্কুলে আসে তাহলে ছাত্রীরা তার থেকে নিরাপদ থাকবে না।
আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এমন কি আমরা চাই না আজীমের মত এই ধরণের চরীত্রহীন শ্যামপুর স্কুলে আসুক।
একটা পক্ষ এই কুলাঙ্গার কে শ্যামপুর স্কুলে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চায় আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ।এই চক্রান্ত বন্ধ করা না হলে,
প্রয়োজনে আমরা আবারো আজিমের বিরুদ্ধে অভিভাবক বৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
যদি এই ধরনের কুলাঙ্গার কে শ্যামপুর স্কুলে পূনঃনিয়োগ দেওয়া হয়।তাহলে তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এছাড়াও আরো বলেন আমরা জোর দাবি জানাই বিষয়টা নিয়ে প্রশাসন যেনো কঠোর ব্যবস্থা নেয়। আজীমের মতো এমন ঘৃণ্য ব্যক্তিকে শ্যামপুর স্কুলে পুনরায় নিয়োগ না দেয়। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শ্যামপুর স্কুল যেন দ্বিতীয় বার আর কলঙ্কিত না হয়। শ্যামপুরের স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতা কর্মী বলেন।
উর্ধতন নেতৃবৃন্দেরা এই ধরনের নিকৃষ্ট আজিমকে যদি স্কুলে পুনরায় নিয়োগ দেয়,
তাহলে আমাদের জাতীয়তাবাদী বিএনপির সম্মান ক্ষুন্ন হবে। আমরা চাই না এ ধরনের ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক।
নেতা কর্মীরা আরো বলেন যে কিনা বিএনপি থেকে অব্যাহতি নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে চাকরি নিয়েছে সে কিভাবে আবার বিএনপি’র উপরে ভর করে চাকরিতে নিয়োগ পাবে বিষয়গুলো আমাদের বোধগম্য নয় বিষয়গুলো উর্ধতন নেতৃবৃন্দ খতিয়ে দেখা উচিৎবলে মনে করছি।